শেকৃবি প্রতিনিধি:
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার" শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ জুন (রবিবার) দুপুর ২.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আফম বাহাউদ্দিন নাসিম প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার রুমে "মেড ইন বাংলাদেশ" স্লোগানে বালাইনাশক উৎপাদনকারীদের নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারাস এসোসিয়েশন(বিএএমএ) এবং কৃষি রসায়ন বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ আয়োজনে এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ধীন এগ্রো প্রডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি) এর সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারাস এসোসিয়েশন (বিএএমএ) এর সভাপতি কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ও মো শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নজরুল ইসলাম এবং কাজী মোহাম্মদ আনিসুর রহমান খান, উপ-পরিচালক এগ্রো প্রডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (APBPC)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, "আমাদের কৃষি এগ্রোকেমিকেল ছাড়া অচল। শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সমস্যার মূল কারনগুলোর একটা এর ব্যবহার নিষিদ্ধ, যা তাদের ফলনকে মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেয়। আমাদের দেশে মানুষ বেড়েছে, চাহিদা বেড়েছে, পাশাপাশি লাগবে পুষ্টিগুন সম্পন্ন, ফলে যথেষ্ট জটিল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের কৃষিজ উৎপাদন। আমরা দ্রুত LDC থেকে উত্তরণের জন্য সকল ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন প্রয়োজন। বিএএমএ দেশেই নিজেরা কৃষি রাসায়নিক দ্রব্য তৈরী করার সক্ষমতা অর্জন করছে এবং তাদের লক্ষ্য কৃষক পর্যন্ত কম মূল্যে দেওয়া। তবে ট্রিপ্স চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এগ্রো কেমিক্যালস এর ক্ষেত্রে পেটেন্ট পণ্যের মূল্য হ্রাস করা হয়না। তবে এক্ষেত্রে আমাদের যথাযথ পলিসি থাকা প্রয়োজন। "
এমআই